সবচেয়ে ভয়াবহ যে ১০ ভূমিকম্পে কেঁপেছিল বিশ্ব

ছবি সংগৃহীত

 

ফিচার ডেস্ক :সম্প্রতি রাশিয়ায় ৮ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। ভূমিকম্পের পর এবার রাশিয়ায় সুনামি আঘাত হেনেছে। প্রশান্ত মহাসাগরে শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর উত্তর কুরিল দ্বীপপুঞ্জে সুনামির ঢেউ আঘাত হেনেছে।

 

ভূমিকম্প প্রাকৃতিক দুর্যোগগুলোর মধ্যে হয়তো সবচেয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত। এজন্য এতে ক্ষয়ক্ষতিও বেশি হয়। এর আগেও বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন সময় ভূমিকম্পে কেঁপেছে বিশ্ব। প্রাণহানির সংখ্যা ছাড়িছে হাজার থেকে লাখে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ঘর-বাড়ি, অফিস-আদালত থেকে ধর্মীয় স্থাপনা। হাজার হাজার মানুষ গৃহহীন হয়েছে এক মুহূর্তে।

জাপান ভূমিকম্প

২০১১ সালের ১১ মার্চ, ৯ ম্যাগনিটিউডের ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল সূর্যের দেশ জাপান। জাপানের হোনশুর পূর্ব উপকূলের কাছে ৯ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্পে ২৯ হাজারেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারায়। এর মধ্যে অনেকের মৃতদেহের খোঁজ পাওয়া যায়নি। ওই ভূমিকম্পের ফলে ভয়াবহ সুনামিও আঘাত হানে দেশটির উপকূলে। কিছু পারমাণবিক চুল্লিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। জাপানের উত্তরপূর্ব দিকে ফুকুশিমা দাইচি পরমাণু কেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফলে পারমাণবিক এবং আর্থিকভাবে চূড়ান্ত ক্ষতির মুখে পড়ে জাপান।

 

এই ভূমিকম্পটি জাপানে রেকর্ড করা সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প। হোনশু দ্বীপে আফটারশক অব্যাহত ছিল বেশ কয়েকদিন। আফটারশকগুলোর মধ্যে রয়েছে ৫০টিরও বেশি মাত্রার ৬ বা তার বেশি এবং তিনটি ছিল ৭ মাত্রার উপরে। প্রশান্ত মহাসাগর ও উত্তর আমেরিকার টেকটোনিক প্লেটের মধ্যবর্তী সীমানা জাপান ট্রেঞ্চের কাছে থ্রাস্ট ফল্টিংয়ের কারণে ভূমিকম্পটি হয়েছিল। থ্রাস্ট ফল্টিং ঘটে যখন একটি টেকটোনিক প্লেট অন্যটির নিচে ডুবে যায়।

ভারত মহাসাগরীয় ভূমিকম্প

২৬ ডিসেম্বর ২০০৪, বড়দিনের উৎসব কাটিয়ে সবে ঘুম ভেঙেছে। এর মধ্যেই ভারত মহাসাগরের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ভূমিকম্পের সাক্ষী হয় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া। প্রায় ৯.১ থেকে ৯.৩ ম্যাগনিটিউডের প্রবল ভূমিকম্প হয়। একইসঙ্গে অতিকায় সুনামিতে ধ্বস্ত হয়ে পড়ে ভারত, ইন্দোনেশিয়া,থাইল্যান্ড-সহ একাধিক দেশ। উপকূলবর্তী এলাকা সম্পূর্ণ রূপে ধ্বংস হয়ে যায়।

ইরান ভূমিকম্প

২৬ ডিসেম্বর ২০০৩ সালে ইরানের বাম অঞ্চলে ৬.৬ ম্যাগনিটিউড ভূমিকম্প দেখা দেয়। এই সুনামির ফলে সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যায় বাম সংলগ্ন এলাকা। এর আগে ১৯৭৮ সালে ইরানের ইয়াদ ৭ দশমিক ৪ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে। মারা যান ২৫ হাজারের বেশি মানুষ। ৮৫ শতাংশ বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয় এ শহরের। যে ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে ইরানের সময় লেগেছিল বেশ অনেকটা বছর। নব্বই শতকের সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্পের মধ্যে একটি এটি।

চিলি ভূমিকম্প

ভালদিয়া ভূমিকম্প বা ‘গ্রেট চিলিয়ান ভূমিকম্প’ বলেও পরিচিত। ২২ মে ১৯৬০ সালে ৯.৫ ম্যাগনিটিউডের প্রবল ভূমিকম্প দেখা দেয়। ফলে চিলি এবং সংলগ্ন এলাকায় প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় সুনামি দেখা দেয়। এই সুনামির প্রভাব দেখা দেয় হাওয়াই এবং জাপানেও।

কামচাটকা ভূমিকম্প, রাশিয়া

৪ নভেম্বর ১৯৫২ সালে রাশিয়ার কামচাটকা প্রদেশে ৯ ম্যাগনিটিউডের ভূমিকম্প দেখা দেয়। এর ফলে কামচাটকা-সহ প্রশান্ত মহাসাগরের বিস্তীর্ণ এলাকায় সুনামি দেখা দেয়। হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জেও প্রবল ক্ষয়ক্ষতি হয়।

মেসিনা ভূমিকম্প

১৯০২ সালের ২৮ ডিসেম্বর ৭.১ ম্যাগনিটিউডের ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে ইতালির সিসলির অঞ্চল। এরপরেই সুনামি আছড়ে পড়ে ওই অঞ্চলে। মোট ১ লাখ ২৩ হাজার মানুষ মারা যান এই বিপর্যয়ে।

নেপাল

নেপালে ৭.৮ মাত্রার ভূমিকম্পে আট হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়। হাজার হাজার মানুষ গৃহহীন হয়েছে। ১৯৩৪ সালের পর দেশটিতে ওটাই ছিল সবচেয়ে বড় প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ঘটনা। নেপালের কয়েকটি পাহাড়ি এলাকায় প্রায় ৯৮ শতাংশ ঘরবাড়িই ধ্বংস হয়ে যায়।

ইন্দোনেশিয়া

ভূমিকম্পের সঙ্গে সমুদ্রপৃষ্ঠের পানির উচ্চতা বেড়ে যাওয়ার একটা সম্পর্ক রয়েছে, এটাই সুনামি নামে পরিচিত। পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে প্রাণঘাতী সুনামি বলা হয় ২০০৪ সালে, একটি ৯ দশমিক ১ মাত্রার ভূমিকম্পের পর। এশিয়া ও পূর্ব আফ্রিকার ১৪টি দেশে অনুভূত হয়েছিল এই ভূমিকম্প ও সুনামি। এই সুনামিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল ইন্দোনেশিয়া; এক লাখ ৭০ হাজার মানুষ এতে প্রাণ হারায়। অনেক মৃতদেহই উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। মৃতের সংখ্যা নিরূপণ করতে কয়েক মাস সময় লেগে যায়। ইন্দোনেশিয়ার মৎস্য শিল্প ও কারখানার প্রায় ৬০ শতাংশ পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যায় এই সুনামিতে।

আরিকা ভূমিকম্প

১৮৬৮ সালের ১৩ আগস্ট পেরু এবং চিলির উপকূল অঞ্চলে একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল, যার ফলে সৃষ্ট সুনামিতে উভয় দেশের উপকূলবর্তী অঞ্চল মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৮.৫ থেকে ৯.৩ এর মধ্যে। সুনামির ঢেউ ১৫-২০ মিটার পর্যন্ত উঁচু ছিল এবং এটি আরিকা সহ উপকূলবর্তী শহরগুলোতে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। ভূমিকম্পের প্রভাবে সৃষ্ট সুনামির ঢেউ অনেক দূর পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছিল। যার প্রভাব হাওয়াই, জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডেও দেখা গিয়েছিল।

ক্যালব্রিয়া ভূমিকম্প

১৭৮৩ সালের ৫ মার্চ ইতালির দক্ষিণে রেজিও ক্যালাব্রিয়া এবং সিসিলি অঞ্চলের কাছাকাছি আঘাত হেনেছিল ভূমিকম্পটি। ৭.৯ মাত্রার ভূমিকম্পের ফলে সুনামি দেখা দেয়। এই সুনামিতে শহরগুলো প্রায় সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। মোট ১ লাখ ২০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয় এসময়। এই ভূমিকম্পটি ছিল ইতিহাসের অন্যতম শক্তিশালী এবং বিধ্বংসী ভূমিকম্পগুলোর মধ্যে একটি। এটিকে মেসিনা-রেজিও ক্যালাব্রিয়া ভূমিকম্পও বলা হয়।  সূএ:জাগোনিউজ২৪.কম

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» ইসলামপুরে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয়া দূর্গোৎসব

» গবেষণালব্ধ বই যুগের আলোকবর্তিকা : ধর্ম উপদেষ্টা

» সারাদেশ থেকে মোট ৯৮৩ জন গ্রেফতার

» প্রভু হে! একটি জলযান হলেও তুমি সৈকতে ভিড়তে দাও: সুমুদ ফ্লোটিলার নিয়ে আজহারীর দোয়া

» অর্ধশতাধিক কর্মী নিয়ে জামায়াতে যোগ দিলেন শ্রমিক দল নেতা

» শাপলা প্রতীক না পেলে নির্বাচন কমিশন ঘেরাও করা হতে পারে: এনসিপি নেতা

» এনসিপিকে শাপলা প্রতীক দিলে মামলা করব না: মান্না

» বুড়িগঙ্গায় প্রতিমা বিসর্জন, সদরঘাটে কড়া নিরাপত্তা

» ‘এবার আমরা খুব ভালোভাবে পূজা করতে পেরেছি’

» নাটোরে পুকুর থেকে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার

উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা,

সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,

ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,

ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,

নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন: ই-মেইল : [email protected],

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

সবচেয়ে ভয়াবহ যে ১০ ভূমিকম্পে কেঁপেছিল বিশ্ব

ছবি সংগৃহীত

 

ফিচার ডেস্ক :সম্প্রতি রাশিয়ায় ৮ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। ভূমিকম্পের পর এবার রাশিয়ায় সুনামি আঘাত হেনেছে। প্রশান্ত মহাসাগরে শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর উত্তর কুরিল দ্বীপপুঞ্জে সুনামির ঢেউ আঘাত হেনেছে।

 

ভূমিকম্প প্রাকৃতিক দুর্যোগগুলোর মধ্যে হয়তো সবচেয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত। এজন্য এতে ক্ষয়ক্ষতিও বেশি হয়। এর আগেও বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন সময় ভূমিকম্পে কেঁপেছে বিশ্ব। প্রাণহানির সংখ্যা ছাড়িছে হাজার থেকে লাখে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ঘর-বাড়ি, অফিস-আদালত থেকে ধর্মীয় স্থাপনা। হাজার হাজার মানুষ গৃহহীন হয়েছে এক মুহূর্তে।

জাপান ভূমিকম্প

২০১১ সালের ১১ মার্চ, ৯ ম্যাগনিটিউডের ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল সূর্যের দেশ জাপান। জাপানের হোনশুর পূর্ব উপকূলের কাছে ৯ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্পে ২৯ হাজারেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারায়। এর মধ্যে অনেকের মৃতদেহের খোঁজ পাওয়া যায়নি। ওই ভূমিকম্পের ফলে ভয়াবহ সুনামিও আঘাত হানে দেশটির উপকূলে। কিছু পারমাণবিক চুল্লিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। জাপানের উত্তরপূর্ব দিকে ফুকুশিমা দাইচি পরমাণু কেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফলে পারমাণবিক এবং আর্থিকভাবে চূড়ান্ত ক্ষতির মুখে পড়ে জাপান।

 

এই ভূমিকম্পটি জাপানে রেকর্ড করা সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প। হোনশু দ্বীপে আফটারশক অব্যাহত ছিল বেশ কয়েকদিন। আফটারশকগুলোর মধ্যে রয়েছে ৫০টিরও বেশি মাত্রার ৬ বা তার বেশি এবং তিনটি ছিল ৭ মাত্রার উপরে। প্রশান্ত মহাসাগর ও উত্তর আমেরিকার টেকটোনিক প্লেটের মধ্যবর্তী সীমানা জাপান ট্রেঞ্চের কাছে থ্রাস্ট ফল্টিংয়ের কারণে ভূমিকম্পটি হয়েছিল। থ্রাস্ট ফল্টিং ঘটে যখন একটি টেকটোনিক প্লেট অন্যটির নিচে ডুবে যায়।

ভারত মহাসাগরীয় ভূমিকম্প

২৬ ডিসেম্বর ২০০৪, বড়দিনের উৎসব কাটিয়ে সবে ঘুম ভেঙেছে। এর মধ্যেই ভারত মহাসাগরের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ভূমিকম্পের সাক্ষী হয় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া। প্রায় ৯.১ থেকে ৯.৩ ম্যাগনিটিউডের প্রবল ভূমিকম্প হয়। একইসঙ্গে অতিকায় সুনামিতে ধ্বস্ত হয়ে পড়ে ভারত, ইন্দোনেশিয়া,থাইল্যান্ড-সহ একাধিক দেশ। উপকূলবর্তী এলাকা সম্পূর্ণ রূপে ধ্বংস হয়ে যায়।

ইরান ভূমিকম্প

২৬ ডিসেম্বর ২০০৩ সালে ইরানের বাম অঞ্চলে ৬.৬ ম্যাগনিটিউড ভূমিকম্প দেখা দেয়। এই সুনামির ফলে সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যায় বাম সংলগ্ন এলাকা। এর আগে ১৯৭৮ সালে ইরানের ইয়াদ ৭ দশমিক ৪ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে। মারা যান ২৫ হাজারের বেশি মানুষ। ৮৫ শতাংশ বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয় এ শহরের। যে ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে ইরানের সময় লেগেছিল বেশ অনেকটা বছর। নব্বই শতকের সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্পের মধ্যে একটি এটি।

চিলি ভূমিকম্প

ভালদিয়া ভূমিকম্প বা ‘গ্রেট চিলিয়ান ভূমিকম্প’ বলেও পরিচিত। ২২ মে ১৯৬০ সালে ৯.৫ ম্যাগনিটিউডের প্রবল ভূমিকম্প দেখা দেয়। ফলে চিলি এবং সংলগ্ন এলাকায় প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় সুনামি দেখা দেয়। এই সুনামির প্রভাব দেখা দেয় হাওয়াই এবং জাপানেও।

কামচাটকা ভূমিকম্প, রাশিয়া

৪ নভেম্বর ১৯৫২ সালে রাশিয়ার কামচাটকা প্রদেশে ৯ ম্যাগনিটিউডের ভূমিকম্প দেখা দেয়। এর ফলে কামচাটকা-সহ প্রশান্ত মহাসাগরের বিস্তীর্ণ এলাকায় সুনামি দেখা দেয়। হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জেও প্রবল ক্ষয়ক্ষতি হয়।

মেসিনা ভূমিকম্প

১৯০২ সালের ২৮ ডিসেম্বর ৭.১ ম্যাগনিটিউডের ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে ইতালির সিসলির অঞ্চল। এরপরেই সুনামি আছড়ে পড়ে ওই অঞ্চলে। মোট ১ লাখ ২৩ হাজার মানুষ মারা যান এই বিপর্যয়ে।

নেপাল

নেপালে ৭.৮ মাত্রার ভূমিকম্পে আট হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়। হাজার হাজার মানুষ গৃহহীন হয়েছে। ১৯৩৪ সালের পর দেশটিতে ওটাই ছিল সবচেয়ে বড় প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ঘটনা। নেপালের কয়েকটি পাহাড়ি এলাকায় প্রায় ৯৮ শতাংশ ঘরবাড়িই ধ্বংস হয়ে যায়।

ইন্দোনেশিয়া

ভূমিকম্পের সঙ্গে সমুদ্রপৃষ্ঠের পানির উচ্চতা বেড়ে যাওয়ার একটা সম্পর্ক রয়েছে, এটাই সুনামি নামে পরিচিত। পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে প্রাণঘাতী সুনামি বলা হয় ২০০৪ সালে, একটি ৯ দশমিক ১ মাত্রার ভূমিকম্পের পর। এশিয়া ও পূর্ব আফ্রিকার ১৪টি দেশে অনুভূত হয়েছিল এই ভূমিকম্প ও সুনামি। এই সুনামিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল ইন্দোনেশিয়া; এক লাখ ৭০ হাজার মানুষ এতে প্রাণ হারায়। অনেক মৃতদেহই উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। মৃতের সংখ্যা নিরূপণ করতে কয়েক মাস সময় লেগে যায়। ইন্দোনেশিয়ার মৎস্য শিল্প ও কারখানার প্রায় ৬০ শতাংশ পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যায় এই সুনামিতে।

আরিকা ভূমিকম্প

১৮৬৮ সালের ১৩ আগস্ট পেরু এবং চিলির উপকূল অঞ্চলে একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল, যার ফলে সৃষ্ট সুনামিতে উভয় দেশের উপকূলবর্তী অঞ্চল মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৮.৫ থেকে ৯.৩ এর মধ্যে। সুনামির ঢেউ ১৫-২০ মিটার পর্যন্ত উঁচু ছিল এবং এটি আরিকা সহ উপকূলবর্তী শহরগুলোতে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। ভূমিকম্পের প্রভাবে সৃষ্ট সুনামির ঢেউ অনেক দূর পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছিল। যার প্রভাব হাওয়াই, জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডেও দেখা গিয়েছিল।

ক্যালব্রিয়া ভূমিকম্প

১৭৮৩ সালের ৫ মার্চ ইতালির দক্ষিণে রেজিও ক্যালাব্রিয়া এবং সিসিলি অঞ্চলের কাছাকাছি আঘাত হেনেছিল ভূমিকম্পটি। ৭.৯ মাত্রার ভূমিকম্পের ফলে সুনামি দেখা দেয়। এই সুনামিতে শহরগুলো প্রায় সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। মোট ১ লাখ ২০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয় এসময়। এই ভূমিকম্পটি ছিল ইতিহাসের অন্যতম শক্তিশালী এবং বিধ্বংসী ভূমিকম্পগুলোর মধ্যে একটি। এটিকে মেসিনা-রেজিও ক্যালাব্রিয়া ভূমিকম্পও বলা হয়।  সূএ:জাগোনিউজ২৪.কম

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা,

সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,

ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,

ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,

নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন: ই-মেইল : [email protected],

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com